বার্তা পরিবেশক :: ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার কক্সবাজার সাইমন বীচ রিসোর্টে ইএএলজি প্রকল্পের বার্ষিক কর্মশালায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাথে মতবিনিময় করেন রত্নাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: খাইরুল আলম চৌধুরী।
এ সময় তিনি রোহিঙ্গা সংকট পরবর্তী উখিয়া টেকনাফের ৪০ হাজার পরিবারকে বিশেষ বরাদ্দে ভিজিডির চাউল প্রদান কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা, বিশ্বব্যাংক ও এডিবির অর্থায়নে উখিয়া টেকনাফে স্কুল কলেজ, রাস্তাঘাট ব্রীজ কালভার্টের ব্যাপক উন্নয়ন করায় বর্তমান সরকারের প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সিনিয়র সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন- উখিয়া টেকনাফে মোট জনসংখ্যার ৩গুন রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে গিয়ে এতদঞ্চলের মানুষ বর্তমানে নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি সাধারণ জনসাধারণকে অসহায় করে ফেলেছে।
অনেক দিন ধরে উখিয়া টেকনাফের শিক্ষিত যুব সমাজ তাদের চাকরির ন্যায্য দাবি আদায়ের চেষ্টা করে আসলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। শরণার্থী ক্যাম্পে শতাধিক এনজিও/আইএনজিও তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তাদের এসব কার্যক্রমে এতদঞ্চলের শিক্ষিত বেকার যুব সমাজকে চাকরি প্রদান করা এখন সময়ের দাবি। বাধ্যতামুলক প্রতিটা এনজিওতে শতকরা ৫০ ভাগ উখিয়া-টেকনাফের শিক্ষিত বেকার যুব সমাজকে যোগ্যতা অনুসারে চাকরি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
এ সময় চেয়ারম্যান মোঃ খাইরুল আলম চৌধুরীর দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হামিদুল হক চৌধুরী, রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম, জালিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী।
চেয়ারম্যানগণের দাবির প্রেক্ষিতে সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সবাইকে আশ্বস্থ করে বলেন- ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকটে এই অঞ্চলের মানুষ যেভাবে মানবিকতা দেখিয়েছেন তা নজিরবীহিন। তারই ভিত্তিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে ”মানবতার মা” হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন, তাই এই অঞ্চলের মানুষের ন্যায্য দাবি খুব শ্রীঘ্রই বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করা হবে। ক্যাম্পে কার্যক্রম পরিচালনা করা সকল এনজিও/আইএনজিও কে শতকরা ৫০ ভাগ উখিয়া-টেকনাফের স্থানীয় বেকার যুবক যুবতীদেরকে যোগ্যতা অনুসারে চাকরিতে নিয়োগ প্রদান করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে নির্দেশনা প্রদান করা হবে।
পাঠকের মতামত: